কাউখালী প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম দিন দিন বেড়েই চলেছে। লাগাম টেনে ধরতে পারছে না পুলিশ। এ উপজেলা নদী বেষ্টিত এবং চারদিকে সীমানাবর্তী উপজেলার দুষ্কৃতিকারী ও মাদক ব্যবসায়ীরা অনায়াসে প্রবেশ করে মাদক বিক্রি করে আবার নিরাপদে চলে যেতে সক্ষম হয়। ফলে এ উপজেলার উঠতি বয়সি স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।
পুলিশ বারবার এদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠালে সহজেই জামিন পেয়ে আবার তারা মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের মেঘপাল গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে রিয়াজ হোসেন (৩২) মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত বলে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়াও আমরাজুড়ী ইউনিয়নের কুমিয়ান গ্রামের আবাসনে এনায়েত শরীফের ছেলে মিরাজ শরীফ ও অরুন কুমারের ছেলে অনুপমসহ বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
এছাড়াও মাদক সম্রাট নামে খ্যাত শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের শিয়ালকাঠী গ্রামের সেকেন্দার হাওলাদারের ছেলে যুবরাজ হাওলাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এরপরও মাদকের ছোবল থেকে এ উপজেলার স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রসহ যুবসমাজ রক্ষা করা যাচ্ছে না। সন্ধ্যা নামলেই যে সকল রাস্তায় লোক চলাচল কম সে সকল রাস্তার মোড়ে মোড়ে এদেরকে দেখা যায় মাদক সেবন ও কেনাবেচায় লিপ্ত থাকতে।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্রিজ, কালভার্ট, পরিত্যক্ত ভবনের পিছনেসহ বিভিন্ন লোকচক্ষুর আড়ালের স্থানগুলোতে মাদকের কেনাবেচা ও সেবনের মেলা বসে। যারা এর সাথে জড়িত তারা উঠতে বয়সি স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রদের প্রথমে সিগারেটের মাধ্যমে ধুমপান করিয়ে নেশায় আসক্ত করে। পরে ঐ সকল স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে না বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কাউখালী থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সোলায়মান জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রজু করে বিভিন্ন সময়ে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। কাউখালী থানা পুলিশ সার্বক্ষনিক তৎপর রয়েছে। মাদককে জিরো টলারেন্সে নিয়ে অভিযান করছি। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের ধরে আদালতে পাঠাই। আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসেই আবার ব্যবসা চালায়।